আন্তর্জাতিক

বাংলাভাষা নানামুখি ষড়যন্ত্রে আক্রান্ত হলেও সমৃদ্ধি ও গৌরব আজো বিশ্ব দরবারে বিরল সম্মানের ‘ –

চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বঙ্গসাহিত্য সম্মিলন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ তে বিজ্ঞ আলোচকগণ বলেন, বাংলাভাষা নানামুখি ষড়যন্ত্রে আক্রান্ত হলেও সমৃদ্ধি ও গৌরব আজো বিশ্ব দরবারে বিরল সম্মানের সাথে আছে। বাংলাদেশ এবং ভারত আলাদা দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র হলেও ভাষাগত ঐক্য আমাদের চিন্তাচেতনাকে কাছাকাছি করে রেখেছে। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিসংগ্রামে ভারতের অবদানে আমরা আজো গর্ববোধ করি। নানামুখি আগ্রাসনে আক্রান্ত হলেও বাংলাভাষার সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে দুই দেশের লেখদের আন্তরিকভাবে কাজ করে যেতে হবে। সমাজ বিনির্মাণে সাহিত্যের ভূমিকা অপরিসীম।

কেননা, সাহিত্য মানুষের শুভবোধের বিকাশ ঘটায়; মানবিকতার বোধকে উচ্চকিত করে। সমৃদ্ধ হয় তখন মানুষ ও নতুন প্রজন্ম। একটি সমাজ কতটা উন্নত, সেটা বোঝা যায়, সেই দেশের বা জাতির সমাজের সাহিত্যের দিকে থাকালে। সে দিক থেকে গুণ-মান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ঋদ্ধতায় বাংলা সাহিত্য অনন্য। বিশ্বের বুঁকে বাঙ্গালী জাতি ও বাংলা ভাষার ইতিহাস নন্দিত ও গৌরবের। বাংলা ভাষা আজ বিশ্বের অন্যতম প্রধান ভাষার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। রক্তে দিয়ে অর্জিত এই বাংলা ভাষা। বাংলাদেশ, ভারতের কয়েকটি রাজ্য সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসে বাংলাভাষী মানুষের বিচরণ গৌরবজনক। ফলে বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এখন গৌরবের বার্তা বহন করছে।

 

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে আরো শ্রীবৃদ্ধি ও মর্যাদাবান হিসেবে গড়ে তুলতে কবি সাহিত্যিক লেখক গবেষক শিক্ষাবিদ সাংবাদিকদের আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। ‘ মাতৃভাষা মধুর হোক সর্ব আঙ্গিনায় ‘ এই স্লোগানে মুখরিত হয় ‘ বঙ্গসাহিত্য সম্মিলন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ‘ গতকাল ( ৬ কার্তিক ১৪৩০ বাংলা, ২২ অক্টোবর ২০২৩ ইংরেজি) রবিবার বিকেল ৩ টায় চট্টগ্রাম নগরীর মোমিন রোডস্থ চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ভারত নেপাল ইতিহাস মঞ্চ, বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চা পরিষদ ও চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। মঞ্চের সভাপতি লেখক লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ ভারত নেপাল ইতিহাস মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক ইতিহাসবিদ সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনবিদ, বাংলাদেশ হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্টের প্রবীন আইনজীবী মুকুল কান্তি দেব। সম্মিলনের আলোচনায় অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহন করেন, ভারতের বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক দেব কন্যা সেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রবীন কথাসাহিত্যিক কবি আজিজুল হক, অধ্যাপক ড. উত্তোম কুমার বড়ুয়া, অধ্যাপক ড. দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান বড়ুয়া, অধ্যাপক ড. সুদীপ্তা বড়ুয়া, কবি ড. আবুল হাসান, আন্তর্জাতিক বক্তা পশ্চিমবঙ্গের মুফতি আতিকুর রহমান, বিশিষ্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ লেখক ড. আতিউর রহমান,বিশিষ্ট ভাষা গবেষক ড. মআআ মুক্তাদীর, বীরগেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, ড. সবুজ বড়ুয়া শুভ, লায়ন শওকত আলী নুর, অধ্যাপক ড. রুপেন বড়ুয়া, কবি নাজমুল হক শামীম, কবি আবদুল আলিম, ইতিহাসবিদ এইচ এম আবদুল্লা সরদার, কবি নুর নবী জমাদার, প্রবীন কবি শাজাহান লস্কর, কবি শাহাউদ্দিন পিয়াদা,কবি আরিফ এমডি খান, কবি মনজুর আলম লস্কর, জিএম মামুনুর রশীদ, কবি কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার, অধ্যাপক জিতেন্দ্র লাল বড়ুয়া, কবি আলমগীর হোসাইন, কবি ইমরানুল ইসলাম, লেখক গবেষক হানিফ মান্নান কাদেরী, কবি দেলোয়ার হোসেন মানিক, কবি সাফাত বিন সানাউল্লাহ, প্রবীন শিক্ষাবিদ নীহারেন্দু বড়ুয়া, কবি পুরবী বড়ুয়া,বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম নবী, অলক বড়ুয়া,অধ্যাপক দিদারুল আলম,শান্তিময় চৌধুরী, পিয়ালী চৌধুরী, রীটা সেন, মুজিবুর রহমান, পারুল আকতার, জিয়াউদ্দিন সরকারপ্রমুখ।

Related Articles

Back to top button