আন্তর্জাতিক

কয়েকদিন আগেই চিন সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

News Saradin

চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ‘একনায়ক’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পালটা কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় বেজিং।এই প্রেক্ষাপটে সেই ‘একনায়ক’ শি-র সঙ্গেই দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন বাইডেন। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়ার মতো একাধিক দেশে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে শামিল মার্কিন সেনা। করোনা পরবর্তী বিশ্বে এহেন বিপুুল সামরিক খরচ নিয়ে মার্কিন জনতার মনেই প্রশ্ন উঠছে। এদিকে, রাশিয়াকে রুখতে ইউক্রেন যুদ্ধে জেলেনস্কি বাহিনীকে ঢালাও টাকা ও হাতিয়ার দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। মন্দার মারে জর্জরিত মার্কিন জনতা তাতেও কিছুটা ক্ষুন্ন। তাই চিনের সঙ্গে তাইওয়ান বা দক্ষিণ চিন সাগরে আপাতত সংঘাতে যেতে চাইছে না আমেরিকা।

ফলে জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করে কোনও ধরনের সংঘর্ষ এড়ানোই প্রেসিডেন্ট বাইডেনের লক্ষ্য।বৃহস্পতিবার দ্বি্পাক্ষিক বৈঠক শেষে মোদির সঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাইডেনও। সাংবাদিক সম্মেলনে চিনের প্রসঙ্গ উঠলে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিদেশ সচিব ব্লিঙ্কেনের চিন সফর খুব ভাল ছিল। ভবিষ্যতে আমিও জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে চাই।’উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই চিন সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আমেরিকার আকাশে গুপ্তচর বেলুন পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল চিনের বিরুদ্ধে।

এছাড়া, দক্ষিণ চিন সাগরে লালফৌজের ‘দাদাগিরি’ও উদ্বেগ বাড়িয়েছে ওয়াশিংটনের। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে গোপনে সাহায্য করছে বেজিং, এমন রিপোর্টও রয়েছে বাইডেনের হাতে। এই পরিস্থিতিতে ব্লিঙ্কেনের সফরের দু’দিনের মাথায় চিনের প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘চিনের বেলুনটিকে গুলি করে নামানোর সময় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন জিনপিং। একনায়করা এসব ক্ষেত্রে খুবই অস্বস্তিতে পড়েন। তখন তাঁরা বুঝে উঠতে পারেন না কী ঘটছে।’

জানা গিয়েছে, চলতি বছরের নভেম্বর মাসেই দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা ‘জি২০’ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। এছাড়াও ‘এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন ফোরাম’ আয়োজন করার সময় জিনপিংকে সানফ্রান্সিস্কয়ে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন জো বাইডেন।

Related Articles

Back to top button