রাজ্য

বীরভূম মুরারুইয়ের লোক শিল্পী মধুমিতা দত্তর গানে সচেতনের বার্তা ও মঙ্গলকামনা করোনা লক ডাউন নিয়ে জনগণের উদ্দেশ্যে

মৃত্যুঞ্জয় সরদার —- অন্তিরজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বর্ধমানের নিঃস্বার্থ বাউলশিল্পী স্বপন দত্তর একমাত্র ভগ্নি মধুমিতা দত্ত বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হয়ে বীরভূমের মুরারুইয়ের লোক শিল্পী জেলা তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের অনুমোদিত শিল্পী মধুমিতা দত্ত তার দাদা স্বপন দত্তর মতই নিঃস্বার্থ ভাবে ছোট থেকেই গানের শিল্পী রূপে বর্ধমানের এক পরিচিত নাম ছিলো ।তার পর বিবাবাহের পর শারীরিক অসুস্থতা থাকা সত্বেও শিল্পী মধুমিতা কিন্তূ ভোলে নি তার বাউল দাদার আদর্শ নিঃস্বার্থ সমাজসেবা করাকে। তার দাদা আকাশবাণীর অনুমোদিত গীতিকার স্বপন দত্ত বাউলের লেখা সচেতনের গান গেয়ে জনগণের উদ্দেশ্যেই ঘরে বসে মানুষকে সচেতনে ও তাদের মঙ্গল কামনা করলেন । করোনা যেভাবে রাজ্যে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে তাতে তিনিও খুবই চিন্তিত। তাই তার বাউল দাদার গান গেয়ে করোনা ও লক ডাউন নিয়ে মানুষকে সচেতন করলেন এবং করোনা যুদ্ধের সকল সৈনিক যেমন ডাক্তার, নার্স, সেবাকর্মী , পুলিশ , প্রশাসন, সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যম, যারা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন তাদের সকলের জনই সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকার মঙ্গল কামনা করেন। বীরভূম জেলার স্বনামধন্য অনুব্রত মন্ডল মহাশয় বীরভূম জেলার এই নিঃস্বার্থ লোক শিল্পী মধুমিতা দত্তকে আশির্বাদ দিয়েছিলেন , তার দাদা স্বপন বাউল কে খোল কর্তাল দিয়ে আশির্বাদ করেছিলেন। সরকারি প্রকল্প নিয়ে অনুষ্ঠানে মধুমিতা দত্তর সুনাম আছে। এই মধুমিতা দত্ত শারীরিক অসুস্থতার জন্য এখুন বেশি বাইরে যাওয়া তার হয় না কিন্তূ ছোটো থেকেই বেতারে লোকগীতি গানের শিল্পী ছিলেন এবং দুরদর্শনে ও একাধিক অনুষ্ঠান করেছেন । এবং 1990 সালে তার গানের প্রকাশিত ক্যাসেট বিক্রি করে দুস্থ পথ ভিক্ষুক মানুষদের চাদর কাপড় দিয়ে অসহায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিদিন রাঙা মাটি ও অনন্য পত্র পত্রিকায় তাকে নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। ছোটো থেকেই দাদা স্বপন দত্ত বাউল তিনি তার বোন কে নিয়ে বর্ধমানে ছাড়া ও বিভিন্ন জায়গায় গানের জন্য দুই ভাইবোনে ডাক পেতেন ।দাদা স্বপন দত্তর তবলা সঙ্গতের তালে তালে মধুমিতা দত্ত গান গেয়ে স্রোতাদের মন জয় করতেন। এককথায় সঙ্গীতে মধুমিতা দত্ত ও তবলায় স্বপন দত্ত এই ভাইবোনের জুটি সাত সং সকলের মন জয় করত।। একসময় বিখ্যাত লোকগীতি শিল্পী গোষ্ঠ গোপাল দাস ও বড় লোকের বেটি লো গানে জনপ্রিয় বীরভূমের শিল্পী স্বপ্না চক্রবর্তী ও মধুমিতা দত্ত কে নিয়ে বহু অনুষ্ঠান হতো। গোষ্ঠ গোপাল দাস ও স্বপ্না চক্রবর্তী তখন ছোট্ট মেয়ে মধুমিতা দত্ত কে খুব ভালোবাসতেন । বিখ্যাত বাঁশি বাদক বেতারের চন্দ্র কান্ত নন্দীর কাছে লোকগীতি তালিম নিতেন মধুমিতা । বড়বড় গুণীজনের সংস্পর্শে এসে এবং তার দাদা নিঃস্বার্থ বিনাপারিশ্রমিকে স্বপন দত্ত বাউলের শিল্প কলা সংগীত সবের মধ্যে সমাজসেবা দেখে মধুমিতা দত্ত তার মন টিকেও সেই রকম তৈরি করেছিলেন। কিন্তূ বিবাহ সূত্রে বাইরে থাকা ও শারীরিক অসুস্থতা থাকার জন্য ও দাদার সঙ্গে দূরত্বের জন্য যোগাযোগের অভাবে এখুন একা একা বেশি বাইরে যেতে পারেন না । তাই বীরভূম জেলার যে অনুষ্ঠানে ডাক পান একই ছুটে যান এবং দাদা স্বপন দত্ত বাউলের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছোটবেলা থেকে যেমন অসহায়ের পাশে দাঁড়াতেন সংগীতের মাধ্যমে ঠিক তেমনি আজও করোনা মহামারী থেকে বাঁচাতে লক ডাউন নিয়ে সচেতনের বার্তা দিলেন গানে গানে । এবং করোনা যুদ্ধের সকল সৈনিকের জন্য মঙ্গল কামনা করলেন বীরভূম জেলার মুরারুইয়ের লোক শিল্পি মধুমিতা দত্ত । যিনি প্রাপ্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় আশির্বাদ ধন্য ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আশির্বাদ ধন্য ও সম্মানিত শিল্পী পূর্ব বর্ধমানের স্বপন দত্ত বাউলের একমাত্র ভগ্নি।

Related Articles

Back to top button