মহার্ঘ “পি পি ই” বিলানো হচ্ছে সখের সাংবাদিকদের?কেন!
–মহার্ঘ পি পি ই যার ফুল ফর্ম হল পার্শোন্যাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট এই মুহুর্তে যেটা করোনা ভাইরাস রুখতে অত্যন্ত দামি এবং গুরুত্বপুর্ণ একটি মেডিক্যাল বস্তু ,যেটা এই সময় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের মাঝে কাজ করা ডাক্তার নার্স ও হাসপাতালের স্বাস্হ্যকর্মীদের জন্য, যেটা পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকায় ইতিমধ্যেই বহু ডাক্তার নার্স এবং স্বাস্হ্যকর্মীদের শরীরে এই মারণ ব্যাধি বাসা বেঁধেছে।যা নিয়ে রোজই রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে দোষ পাল্টা দোষারোপ চলছে সেই অত্যন্ত দুরমুল্য এবং একমাত্র সরাসরি স্বাস্হ্য পরিষেবা প্রদানকারীদের জন্য দরকারি পি পি ই এখন তুলে দেওয়া হচ্ছে এমন কিছু সাংবাদিকদের হাতে যাদের আদৌ এগুলোর কোনো প্রয়োজন নেই।হ্যা, গত ২১ এপ্রিল বারুইপুর এস পি অফিসে থেকে এরকমই কিছু পি পি ই পোশাক সাংবাদিক বন্ধুদের হাতে তুলে দিলেন বারুইপুর পুলিশ সুপার রশিদ মনি র খান।যেখানেএই মহামুল্যবান পি পি ই হাতে পেয়ে ইতিমধ্যেই সাংবাদিকদেরই একাংশ এর সারবত্ত্বা নিয়েপ্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।যাকেই আবার সরকারী পর্যায়ে নিদারণ দায়িত্বজ্ঞানহীনতার নিদর্শন বলে মনে করছেন তারা। এদিন এস পি সাহেবের হাত থেকে এই পি পি ই হাতে পাওয়ার পর তাদের বক্তব্য,কি কারণে আমাদের এগুলো দেওয়া হল তাইতো বুঝতে পারছি না।বিশেষ করে যারা পাক্ষিক এবং সাপ্তাহিক পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত তাদের তো এগুলোর কোনো প্রয়োজনই পড়েনা।একমাত্র ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়া আর ডেইলি পত্র পত্রিকাদের ক্ষেত্রে এই বস্তুটির হয়তো কিছুটা প্রয়োজন পড়তে পারে।তাও একদম সাময়িক শুধুমাত্র হসপিটাল জোনে খবর সংগ্রহের সময়।কিন্তু বাকি সময় এটাতো আবর্জনার ঝুড়িতে যাবে।যেখানে এই মুহুর্তে এই পি পি ই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন এমন বহু সরকারি স্বাস্হ্যকর্মী,ডাক্তার নার্স এরা এখনো এই জিনিষটি পাচ্ছেন না।ফলে প্রচুর রিস্ক নিয়ে এখন তাদের কাজ করতে হচ্ছে।এবিষয়ে সাংবাদিকদের একটি অংশের বিবেকের দিকেই কেউ কেউ আঙুল তুলছেন,যেখানে তাদের বক্তব্য এভাবে এই রকম একটা চরম সময় তাদেরও এটা বোঝা উচিত যে এই বস্তুটি আজ স্বাস্হ্য পরিষেবায় কতটা মারাত্মক প্রয়োজন যার সঠিক জায়গায় বন্টন করাটাই একজন আদর্শ সাংবাদিকের কাজ। অন্য একটি অংশের বক্তব্য হল আমাদের মধ্যে এমন অনেক ব্যাক্তি এই জিনিষটি পেয়েছেন যারা আদৌ জানেন না এটা খায় না মাথায় দেয়।যা নিয়ে বিশিষ্ট এক চিকিৎসকের বক্তব্য খুব কম করে ২৫০ টাকা থেকে এর দাম শুরু হয়ে সর্বোচ্চ বারো হাজারে পর্যন্ত হতে পারে।যা হাতে পেলে বহু ডাক্তার নার্স স্বাস্হ্যকর্মী এই মুহুর্তে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে যেতে পারতো। দৈনিক আর্থিক লিপি সাংবাদিক ও ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার বলেন যে সাংবাদিকরা এখন রাজনীতি করতে ব্যস্ত,আমি দৈনিককাগজ এ কাজ করার পরেও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা থেকে কোনো রকম সুযোগ-সুবিধা পায়নি!তিনি আরো বলেন যে যারা নির্দিষ্ট কোন একটা প্রেসক্লাবের সদস্য হতে হবে তারা সুযোগ-সুবিধা পাবে, অন্য কোন সংগঠন করলে কি পাবে না?তেমনই চলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাংবাদিকদের মধ্যে, আমার সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে একশ্রেণীর সাংবাদিক।