অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা পশ্চিমবঙ্গের পক্ষ থেকে হুগলী জেলার ধনেখালি অঞ্চলে আয়োজন করা হলো এক বিরাট রথযাত্রা। অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার প্রায় পাঁচশতাধিক কর্মী এই রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। মূলত আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কর্মীদের চাঙ্গা করার পাশাপাশি আগামীদিনে রাজ্য ও সর্বভারতীয় রাজনীতিতে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা যে এক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে চলেছে সেই বার্তা দেওয়াই ছিল সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর পর প্রায় সাতাত্তর বছর পরে কোনো নির্বাচনে নিজস্ব প্রতীকে দলগত ভাবে অংশগ্রহণ করতে চলেছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা রাজনৈতিক দলটি।
রথযাত্রা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী। উনি ওনার স্বাগত ভাষণে রথযাত্রার পূণ্য তিথিতে সনাতনী জাতীয়তাবাদী সমস্ত মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে হিন্দুধর্মে রথের রশি টানার মাধ্যমে আধ্যাতিক পূণ্য লাভের দিকটি উল্লেখ করেন। রথযাত্রার মূল সহযোগিতায় ছিল হুগলী জেলার অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার কর্মকর্তারা। মহাসভার অন্যতম সদস্য ঝিন্টু বাগ নিজের হাতে এই সুবিশাল রথ এবং ভগবান জগন্নাথের সুন্দর মূর্তিটি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া মিন্টু বাগ, পম্পা দেশমুখ, কাজল বাগ, সমর বাগ সহ আরো অন্যান্য জেলা কমিটির সদস্যরা সহযোগিতা করেন। রাজ্য কমিটির উল্লেখযোগ্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মিডিয়া ইন চার্জ অনামিকা দে, জিতেন গোস্বামী, শ্রাবণী মুখার্জী, কমল কৃষ্ণ কুইলা, দীপ্তিশ গুহ সহ আরো অনেকে। মোট নয় কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এই বিশাল রথযাত্রা।
রথযাত্রায় আদিবাসী নৃত্য ও সাঁওতালি গান ছিল বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। চন্দ্রচূড় বাবুর কথায় অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা শুধু শহুরে বুদ্ধিজীবী শ্রেণী নয় গ্রামীণ প্রান্তিক উপজাতি বা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের কাছেও সমান ভাবে পছন্দের। অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার মিডিয়া ইনচার্জ শ্রীমতী অনামিকা দে পশ্চিমবঙ্গ দিবসে এই রাজ্যের রাজ্যবাসী পশ্চিমবঙ্গের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি প্রশাসনকে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হতে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সর্বভারতীয় এবং রাজ্য রাজনীতিতে আগামীদিনে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা যে এক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে চলেছে সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।