স্বাস্থ্য ও শিক্ষা

এভাবে শসা কাটলে তেতো স্বাদ এড়ানো যাবে সহজেই, জানুন গরমে এই ফল খাওয়ার সঠিক উপায়

গ্রীষ্মকাল যতই অপছন্দ হোক, গরমের ফলের জুড়ি মেলা ভার। গরমকালে হাঁসফাঁস অবস্থা হলেও গ্রীষ্মকালীন ফলের প্রতি প্রেম অনেকেরই থাকে। আম, জাম, তরমুজ, লিচুতে ছেয়ে যায় বাজার। তাছাড়া এই ফলগুলো যে বছরের অন্যান্য সময় মেলে না। তার উপর গরমে সুস্থ থাকতে এই ফলগুলো উপকারী। কিন্তু সারা বছর আপনাকে সুস্থ রাখে শসা। গরমে শসার চাহিদা বাড়ে। এই ফলের অধিকাংশ জল। গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে শসা। তাছাড়া এই ফল ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ। কিন্তু তেতো হলেই মুখে তুলতে ইচ্ছা যায় না শসা।

শসা যদি সঠিক উপায়ে না কাটেন, তখনই তার স্বাদ তেতো হয়ে যায়। শসা যাতে তেতো না হয়, তার জন্য রয়েছে একটি সহজ উপায়। অনেকেই হয়তো দেখে থাকবেন, মা-ঠাকুমারা শসা কাটার সময় গোড়াটা একটু কেটে নিয়ে শসার বাকি অংশের সঙ্গে ভাল করে ঘষে নেন। তারপর বাকি শসাটা কাটেন। এই উপায়ে শসা কাটলে সহজেই তেতো স্বাদ এড়ানো যায়। কিন্তু কেন শসার গোড়া কেটে ঘষে নিলেই তেতো স্বাদ উধাও হয়, তা কি জানেন?

শসার মধ্যে ‘কিউকারবিটাসিন’ নামের একটি রাসায়নিক যৌগ থাকে। এই ‘কিউকারবিটাসিন’ নামের যৌগই শসার তেতো স্বাদের জন্য দায়ী। যখন আপনি শসার গোড়াটা কেটে ঘষতে থাকেন, তখন সাদা ফেনা উৎপন্ন হয়। শসার মুখে তখন যে সাদা ফেনা জমতে থাকে, সেটাই হল এই কিউকারবিটাসিন। এই যৌগটা যদি পরিষ্কার করে দেওয়া যায়, তাহলে শসা আর খেতে তেতো লাগবে না।

এই খবরটিও পড়ুন

গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাইয়ের

 

 

শসার তেতো ভাব দূর করতে গোড়া কেটে ঘষতে থাকুন। যতক্ষণ সাদা ফেনা উৎপন্ন হচ্ছে, ততক্ষণ শসা গোড়াটা বাকি অংশের সঙ্গে ঘষবেন। ফেনা বেরোনো বন্ধ হয়ে গেলে জানবেন কিউকারবিটাসিন যৌগ আর নেই শসার মধ্যে। এরপর ওই শসা খেলে আর আপনার তেতো লাগবে না।

অনেকেরই প্রশ্ন থাকে যে, শসার খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত কি না। শসার মধ্যে প্রচুর পুষ্টি থাকে। শসার খোসা ছাড়িয়ে খেলে সেই পুষ্টিগুণও কমে যায়। কচি শসা খোসা সমেত খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। এতে গরমে যেমন হাইড্রেটেড থাকবেন, তেমনই ওজন কমাতে পারবেন। যেহেতু শসায় ক্যালোরি নামমাত্র, তাই গরমে ওজন ঝরাতে এই ফল খেতে পারেন। শুধু তেতোভাব এড়াতে গোড়াটুকু কেটে শসার বাকি অংশের সঙ্গে ঘষে নিন।

Related Articles

Back to top button