বর্ধমানে সাড়ম্বরে করোনা বিধি মেনে কামাক্ষা মায়ের পুজো
নিউজ সারাদিন রিপোর্ট লিখছেন —— রাষ্ট্রপতির সম্মানীত ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিল্পী ও সাংবাদিক রূপে সম্মানীত স্বপন দত্ত বাউল ।
আসামের কামাক্ষা মন্দির জাগ্রত দেবীর স্থান , যুগ যুগ ধরে মা পূজিত হয়ে আসছেন। দেবী দর্শনে প্রতি বছর আম্যবাচি উপলক্ষে কামাক্ষা মন্দিরে যান অগণিত ভক্তবৃন্দ । মহা সমারহে ধুমধাম করে প্রতিবছর কামাক্ষা মায়ের পূজা ও উৎসব হয়ে আসছে । আসামের নীল পর্বতে কামাক্ষা মায়ের মন্দির । তবে করোনা মহামারী তে করোনা বিধি নিষেধ মেনেই প্রতি বছরের মত এ বছরে ভক্ত বৃন্দ সকলে কামাক্ষা যেতে পারেন নাই । অনেক তান্ত্রিক ও সাধু সন্ন্যাসীরা এই কামাক্ষা মন্দিরে মায়ের কাছে সাধনা করেন ও সাধনা করতে যান বসিকরণ বিদ্যা শিক্ষা লাভ করে সিদ্ধিলাভের জন্য ,লোক কথিত আছে । পূর্ব বর্ধমানের তেজগঞ্জ বাঁধের পারে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আম্যবাচি উপলক্ষে কামাক্ষামা মন্দিরে পূজিত হয়ে আসছেন । ৫২ বছর বয়সি পুরোহিত উদয় ভানু চ্যাটার্জী এখানে কামাক্ষা মায়ের প্রতিষ্ঠা করে সেবায়িত হয়ে মায়ের পুজো করে আসছেন। উদয় ভানু চ্যাটার্জি খুবই গরিব ব্রাম্ভন মায়ের মন্দির আজ ও পর্যন্ত পাকা পাকি গড়ে তুলতে পারেন নি । কামাক্ষামা তার পর্নকুঠিরে অধিষ্ঠান করছেন ৩৫ বছর ধরে। এ ব্যাপারে সেবায়িত কে জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেন মায়ের যেমন লীলা মা হয়ত এখানে এইভাবেই পুজো চান। এবছরেও করোনা বিধি নিষেধ মেনেই বর্ধমানে কামাক্ষা পুজো সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হলো ২১শে জুন ২০২১ ।
পাঁচ দিনের পুজো, অধিবাসর হয়। প্রথম দিন মাকে নীল পর্বত থেকে আহ্বান করে ওই এলাকার তেমাথার মোড় থেকে ঢাক ঢোল বাজিয়ে মাকে বরণ করে আনা হয় মন্দিরে । শেষ দিন পূজায় মায়ের প্রসাদ অন্ন কূট করা হয় বহু ভক্তবৃন্দ সেই প্রসাদ গ্রহণ করতে প্রতিবছর আসেন কিন্তূ এবারে করোনার মহামারিতে করোনা বিধি মেনেই সব কাটছাট করে অন্ন কূট হবে বলে জানিয়েছেন মন্দিরের সেবায়িত । এই উপলক্ষ্য প্রতিবছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ভক্তিগীতির নানা অনুষ্ঠান হলেও এবছরে করোনার জন্য ভক্ত বৃন্দ রা সেটা থেকে বঞ্চিত হবেন ।
মায়ের মন্দিরে গ্রাম বাসী ও ভক্তবৃন্দের সহযোগিতায় এই পূজা মা যেমন ভাবে করান তেমন ভাবেই প্রতি বছর হয় । সেবায়িত উদয় ভানু বাবু বলেন আমার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ , শিক্ষিত ছেলে বেকার চাকরি নেই কোনো রকম পুজো করে জীবন কাটে সংসার চলে । মাটির ঘর তেমন জায়গা নেই , মায়ের পুজো খুবই ধুমধাম করে তো করার ইচ্ছা সবসময় কিন্তূ সামর্থ্য নেই বলেই সেভাবে হয়ে ওঠে না । তবে আমি চাই করোনা মহামারি থেকে যেন মা সকলকে রক্ষা করেন । সকলে মিলে যেন আমরা সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকতে পারি দুবেলা দুমুঠো খাবার যেন মা আমাদের সকলেই জুটিয়ে দেন এই শুধু মায়ের কাছে সকলের জন্য আমার কামনা।।