কলকাতা

শ্রীরামপুরে সিদ্ধেশ্বরী কালী মাকে দুর্গা রূপে পূজা করছেন পরমানন্দ গিরি

আজ মহা সপ্তমী, আজকের দিনে সকাল থেকেই সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে প্রতিষ্ঠাতা পরমানন্দ গিরি মহারাজ নবপত্রিকা পুজো পাটের ধৈর্য শুরু করেছে , ব্যতিক্রমী বিষয় শ্রীরামপুর থানার পাশে সিদ্ধেশ্বরী কালী মা কে দুর্গা রূপে পূজা করা হচ্ছে, পরমানন্দ গিরি মায়ের যে বিভিন্ন রূপে পূজা করেন দেবী দুর্গা রূপে ,মানব সমাজে প্রচলিত আজকের দিনের কথা । গতকাল মায়ের বোধন ও অধিবাস হওয়ার পর আজ সকালে হবে নব পত্রিকা স্নান। নবপত্রিকা বাংলার দুর্গাপূজার একটি বিশিষ্ট অঙ্গ।

 

নবপত্রিকা শব্দটির আক্ষরিক অর্থ নটি গাছের পাতা। তবে বাস্তবে নবপত্রিকা নটি পাতা নয়, নটি উদ্ভিদ। এগুলি হল – কদলী বা রম্ভা (কলা), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (দাড়িম), অশোক, মান ও ধান। একটি সপত্র কলাগাছের সঙ্গে অপর আটটি সমূল সপত্র উদ্ভিদ একত্র করে একজোড়া বেল-সহ শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লালপাড় সাদা শাড়ি জড়িয়ে ঘোমটা দেওয়া বধূর আকার দেওয়া হয়। তারপর তাতে সিঁদুর দিয়ে সপরিবার প্রতিমার ডান দিকে দাঁড় করিয়ে পুজো করা হয়। প্রচলিত ভাষায় নবপত্রিকার নাম কলাবউ।সেই কলাবউকে শ্রীরামপুরে গঙ্গায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরমানন্দ গিরি মহারাজ নিজেই কাঁধে করে নবপত্রিকা নিয়ে যান। তাঁর পিছন পিছন ঢাকীরা ঢাক বাজাতে বাজাতে এবং মহিলারা শঙ্খ ও উলুধ্বনি করতে করতে যান। শাস্ত্রবিধি অনুযায়ী স্নান করানোর পর নবপত্রিকাকে নতুন শাড়ি পরানো হয়। তারপর পূজামণ্ডপে নিয়ে এসে নবপত্রিকাকে দেবীর ডান দিকে একটি কাষ্ঠসিংহাসনে স্থাপন করা হয়। পূজামণ্ডপে নবপত্রিকা প্রবেশের মাধ্যমে দুর্গাপূজার মূল অনুষ্ঠানটির প্রথাগত সূচনা হয়। নবপত্রিকা প্রবেশের পর দর্পণে দেবীকে মহাস্নান করানো হয়। এরপর বাকি দিনগুলিতে নবপত্রিকা প্রতিমাস্থ দেবদেবীদের সঙ্গেই পূজিত হতে থাকে।

Related Articles

Back to top button