খোলা মাঠে বাছুরকে তাড়া করে ধরেও ফেলল, তার মা আসতেই ভয়ে পালাল বাঘটি
অনলাইনে আমরা এমন অনেক ভিডিয়ো দেখতে পাই, যেখানে মানুষের আবাসস্থলে ঢুকে পড়ে পথভ্রষ্ট হয়ে যায় বন্যপ্রাণীরা। তার কারণ মানুষ যে ভাবে দিনের পর দিন বন্যভূমিতে ঢুকে পড়ছে, তাতে বন্যপ্রাণীদের প্রাণ সংশয় দেখা দিচ্ছে। টুইটারে একটি ভিডিয়ো খুব ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, খোলা মাঠে একটি বাছুরকে(Calf) তাড়া করেছে একটি বাঘ (Tiger)। কিছুক্ষণ পর যদিও সে পিছু হটে। তবুও সে ভিডিয়ো দেখলে যে কারও মনে ভয় ধরতে পারে! ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস অফিসার সুশান্ত নন্দা (Susanta Nanda) সেই ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন। মুহূর্তের মধ্যে ভিডিয়োটির ভিউ কয়েক লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে।
ভিডিয়োতে দেখা গেল, ওই বাঘটি লোকালয়ের মধ্যে একটি ফাঁকা মাঠে ঢুকে পড়ে হঠাৎ করেই। সেই মাঠেই কয়েকটি গরু চড়ে বেড়াচ্ছিল। বাঘটি আসা মাত্রই তাড়া করে গরুগুলিকে। বাঘের তাড়া খেয়ে বাকি গরুগুলি পালিয়ে গেলেও একা পড়ে যায় একটি বাছুর। তার এক্কেবারে ঘুম ছুটিয়ে দেয় ওই বাঘটি। যতক্ষণ না পর্যন্ত তাকে ছুঁটে পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত ওই বাঘটি ছুটিয়ে মারে বাছুরটিকে।
কল সারাতে মিস্ত্রি আসবে, স্কুল ছুটি দিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন প্রধান শিক্ষক
এই ভিডিয়োটি শেয়ার করে সুশান্ত নন্দা লিখছেন, “বিশ্বের বন্য বাঘের মোট 75% হল ভারতেরই। সংখ্যাটা প্রায় 3200। শীঘ্রই এই সংখ্যাটি তলানিতে ঠেকতে পারে, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা সংখ্যাটাকে গুরুত্ব সহকারে ভাবব এবং মানুষের আবাসস্থলে তাদের কীটপতঙ্গ না বানিয়ে ফেলি।” তবে এই ভয়ঙ্কর আক্রমণ থেকে বাছুরটি যেভাবে প্রাণে বেঁচেছে, তা সত্যিই নেটপাড়ার লোকজনের নজর কেড়েছে।\
মিস্টার নন্দা যে ক্যাপশনটি যোগ করেছেন ভিডিয়োর সঙ্গে, তা দেখে বহু মানুষ ভিডিয়োতে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বাছুরটি যে ভাবে প্রাণে বাঁচল, তা নিয়ে যেমন অনেকে কথা বলেছেন, তেমনই আবার অনেকে জানিয়েছেন, মানুষের জন্যই এদের জীবন কতটা বিপন্ন হয়ে পড়ছে। ব্যবহারকারীদের একজন লিখছেন, “যদিও এই বিষয়ে আমি দ্বিমত পোষণ করছি। সম্ভবত, বর্তমান সময়ে মানুষ পৃথিবীর সবচেয়ে বিরক্তিকর কীটপতঙ্গ! তাদেরও সংখ্যা হ্রাসের প্রাথমিক কারণ আমরাই।”
আর একজন যোগ করে লিখলেন, “মানুষের বহন ক্ষমতা বলে আদৌ কিছু আছে কি না, আমি সেটাই ভাবছি। মানুষই তো বনও অন্যান্য প্রাণীর আবাসস্থলে আধিপত্য বিস্তার করছে।”