জাতীয়

পুলিশ কনস্টেবলের মেয়ে থেকে কুখ্যাত গ্যাংস্টারের স্ত্রী! বকলমে গ্যাং চালানো কে এই শায়িস্তা

প্রয়াগরাজ: মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে ছেলে ও স্বামীকে হারিয়েছেন। তাঁর নামেও রয়েছে চারটি মামলা। কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম। এমনকি তাঁর ব্যাপারে তথ্য দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণাও করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। ৫১ বছর বয়সী মহিলাকে নিয়েই এখন চর্চা উত্তর প্রদেশে প্রশাসনিক মহলে। পলাতক এই মহিলা হলেন শায়িস্তা পারভিন। উত্তর প্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের স্ত্রী। আতিক দিন কয়েক আগেই পুলিশি হেফাজতে আততায়ীর গুলিতে মারা গিয়েছেন। তাঁর দুদিন আগেই উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের এনকাউন্টারে মৃত্যু আতিক ও শায়িস্তার ছেলে আসাদের। জানা যাচ্ছে, আতিক ও ছেলেদের অনুপস্থিতিতে শায়িস্তা পরিচালনা করছিলেন আতিকের গ্যাংকে। উমেশ পাল হত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত তিনি। কী ভাবে আতিকের গ্যাঙে জড়ালেন শায়িস্তা?

শায়িস্তার বাবা ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল। তাঁর নাম মহম্মদ হারুন। প্রয়াগরাজের দামুপুর গ্রামে থাকতেন শায়িস্তার পরিবারের লোকেরা। সেখানেই বেড়ে ওঠেন শারিয়া। প্রয়াগরাজের স্কুল থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করেন শায়িস্তা। তার পর অবশ্য পারিবারিক কাজেই লিপ্ত থাকতেন। ১৯৯৬ সালে আতিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।

২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে নিজের বাড়ির সামনে খুন হন আইনজীবী উমেশ পাল। তিনি ছিলেন বিধায়ক রাজু পাল খুনের প্রধান সাক্ষী। রাজুকে খুনের মামলাতেই জেলে ছিলেন আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আসরফ। উমেশকে খুনের ঘটনার পরই সামনে আসে আতিকের স্ত্রী শায়িস্তার নাম। এই খুনের ঘটনার দিন কয়েক আগে গুজরাতের সবরমতী জেলে আতিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শায়িস্তা। সেখানেই উমেশ পাল খুনের ষড়যন্ত্র করা হয় বলে অভিযোগ। এই মুহূর্তে শায়িস্তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে একটি উমেশ পাল হত্যার সংক্রান্ত। ২০০৯ সালেও তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছিল। কলোনিগঞ্জ থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়।

 

আইপিএলের মাঝেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দল ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

 

 

২০২১ সালে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল এআইএমআইএম-এ যোগদান করেন শায়িস্তা। যদিও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিএসপি-তে যোগ দেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, বিএসপি-র হয়ে প্রয়াগরাজের মেয়র নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন শায়িস্তা। যদিও উমেশ পাল হত্যায় নাম জড়ানোর পর সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দেয় বিএসপি। উমেশ পাল হত্যার তিন দিন পর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখেছিলেন শারিয়া। সেই চিঠিতে উমেশ পাল হত্যায় তাঁর পরিবারকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। ছেলে আসাদের মৃত্যুর পর বোরখা পরে শায়িস্তা কবরস্থানে আসতে পারেন বলে নজর রেখেছিলেন গোয়েন্দারা। যদিও শায়িস্তা সেখানে আসেননি। এখন শারিয়ার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Related Articles

Back to top button